পোস্টগুলি

ছবি
সৌদি আরব উচিৎ করছে না পৃথিবীতে সবচেয়ে চরণ চাটা শাসকদের মধ্যে প্রথম সারির প্রথম হলো সৌদি শাসকরা।এ কথাটা বলতে আমাদের লজ্জা লাগলেও এটাই চরম বাস্তবতা।সৌদি আরবের অপরাধ সীমা অতীক্রমা করেছে।এরা এখন এমন এক পর্যয়ে চলে গেছে যে,কাবার ইমাম নিয়োগ দিতেও হস্তক্ষেপ করছে।আমেরিকার চরণ চাটা গোলামরা মুসলমানদের উন্নতি তো দূরের কথা বরং মুসলমানদের ধ্বংস করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।সৌদির প্রায় দুই লক্ষ্য বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে আমেরিকান সেনাদের ঘাঁটি অথচ রাসুল সাঃ এর স্পষ্ট হাদিস, ‘ইয়াহুদি খ্রিস্টানদের জাজিরাতুল আরব তথা আরব উপদ্বীপে ঢুকতে দিও না’।জাজিরাতুল আরব হলো উত্তরে সিরিয়ান মরুভূমি, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে পারস্য উপসাগর এবং পশ্চিমে লোহিত সাগর।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বর্তমান হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং করছে আমেরিকান সৈন্যরা।জাজিরাতুল আরবের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি রাষ্ট্রনয়ক এখন আমেরিকার খেলার পুতুল।কান ধরতে বললে কান ধরে,বসতে বললে বসে, উঠতে বললে উঠে।এই যখন পরিস্থিতি তখন মুসলমানদের অবস্থা বা অার কতোটুকু-ই ভালো থাকবে তা তো নতুন করে বলার কিছুই নাই।সবি দৃ্শ্যমান। সৌদির দুটি জিনিস খুব প্...
ছবি
রেইনবো ( LGBT  ) রেইনবো বিতর্কটি ইদ উপলক্ষ্যে গ্রামীণ ফোনের সৌজন্যে RTV তে প্রচারিত নাটক রেইনবো থেকে শুরু।নাটকরে বৈশিষ্ট্য অনুযায় নাটকটি চমৎকার হয়েছে।অত্যাধুনিক ক্যামেরা এবং বিলাসবহুল সাজ-সজ্জা নাটকে এনেছে বিশেষ অাকর্ষণ।অবশ্যই দেশের শীর্ষ ফোন কম্পানি গ্রামীণ-ই এই নাটকের স্পন্সর এবং RTV এর মতো জনপ্রিয় টিভিতে এই নাটকের এক্সিভিশন হয়েছে।সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ হলো নাটকের চরিত্রে ছিলো জনপ্রিয় নায়কা নুসরাত ইমরোজ তিশা।বাংলাদেশে আরো হাজার হাজার নাটক হয়েছে কিন্তু ওসব নাটক নিয়ে আমাদের মাঝে কখনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বাংলাদেশে খুব ভালো নাটক তৈরি হলেও তা নিয়ে কখনো সামাজিক সাইড গুলোতে কাউকে সরব হতে দেখা যায় না।কিন্তু রেইনবোকে নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক।রেইনবো নাটকে মর্ডান ইনুস্ট্রোম্যান্ট ব্যবহার করে জৌলস দেয়া হয়েছে।সমস্যার জায়গাটা হলো রেইনবোর বিষয় নিয়ে।নাটকে সমকামী চরিত্রে শিব্বির নামে অভিনয় করেছে আবির মির্যা । হিমেল নামে দুর্বল-পুরুষের(স্ত্রীর কছে) চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনি কবির। ঘটনাটিকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে,নাটকের শেষ পর্যন্ত একটা আমেজ দর্শকদের ভেতরে কাজ করে। নাটকের নাম রেইনবো হওয়ার ক...
ছবি
শিশু জান্নাতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। আপনার ১৩৪ টাকায় বেঁচে যেতে পারে শিশুটির জীবন। মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য।সুন্দর এ পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে মূল্যবান আর কোনো বস্তু নেই।তাই মানুষের তরে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে মানুষ মহামনীষীতে রুপান্তরিত হয়েছে।বাংলার হাতেমতাই হাজি মুহাম্মদ মুহসিনের কথা তো সকলের জানা।তিনি কী করে এখনো মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসায় লালিত হন? একমাত্র মানব প্রেমের কারণে।১৭৩২ সালে জন্ম গ্রহণ করে এই মানুষটি পৃথিবী ছেড়ে গেছেন ১৮১২ সা লে।৮০বছর জীবনে তিনি এমন কী করে ছিলেন যে,তার মৃত্যুর ২০৫ বছর পরও মানুষ তাঁকে স্মরণ করে? উত্তর তো সকলেরি জানা, তিনি মানুষকে ভালোবেসে অমরত্ব গ্রহণ করেছেন সসীম পৃথিবীতে। হাতেম তাই নিজে না খেয়ে অন্যকে খাদ্য দিয়েছেন।দুর্ভিক্ষের সময় মানুষকে খাদ্য বিতরণ করতে করতে নিজের ঘর খালি করে ফেলে ছিলেন।শেষ পর্যন্ত খাদ্যের অভাবে হাতেমতাইর নিজ সন্তান ছটফট করতে করতে তাঁর সামনেই মারা গিয়ে ছিলো।দুর্ভিক্ষের এমন কঠিন মুহূর্তেও তারা মানব প্রেম ছাড়েনি।তাই তো তিনি বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হাতেমতাই। বন্ধুরা,আমি আপনাদের কাছে খুব মিনতি করে কয়েকটি কথা বলবো যদি আপনাদ...

জীর্ণ জীবন

ভাবছি আর ডাইরি লিখবো না।অতীত স্মৃতিকে সাঙ্কেতিক চিহ্নের শিকলে বন্দি করা উচিৎ নয়।এতোদিন পর বুঝলাম স্মৃতির পাতাকে সংরক্ষণ করা আর কষ্ট সংরক্ষণ করা একি কথা।স্মৃতিগুলো মুছতে দেয়া উচিৎ।ডাইরি লিখা সম্ভবত একটা বদ অভ্যাস। ডাইরির কথা গুলো কেমন জানি কষ্ট দেয়।আজকাল আমার সকল কাজের সাথে ডাইরি কেমন আত্মিয়তা গড়ে তুলেছে।অথচ বর্তমানের সাথে স্মৃতির সর্ম্পক তেতু।যে দেশে মানুষের দাম নেই সে দেশে কুকুরের দাম কি করে? যে দেশে মনবতার অভাব সে দেশে প্রাণীদের উপর রহম তো অলিক কল্পনা । “কুকুরীর জন্য ভালোবাসাতো কুকুরের হয়” পথিক মুখের উপর বলেছে।খারাপ বলেনি।অনাহুৎ পশু পাখিদের কষ্ট দেয়া যে পাপ, তা তো মানুষ ভুলেই গেছে।তাই তো মানুষ মানুষকে জবাই করতে কুণ্ঠা বোধ করে না।আমার লিখা পড়ে কেউ হয়তো বলবেন,“মানুষ মরে ছারখার হচ্ছে দেশে দেশে,পশু পাখি দরদী সজতেছো?” কথা অসত্য নয়।যে পৃথিবীতে মানুষের মূল্য নেই সে পৃথিবীতে কিসের প্রাণীদরদ ?তবে পৃথিবীর সকল ধর্ম বলছে প্রাণীদের উপর অনাহুৎ জুলুম, পাপ।আমি যেহেতু ধর্মের মানুষ তাই আমার কাছেও এটা পাপের শামিল মনে করা বাঞ্চনীয়। বি ব্লক যে লেইনে আমি থাকতাম সে লেইনের কয়েকটা কুকুর-কুকুরী ছিলো আমার...

একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস

ছবি
শুক্রবার। নামায পড়ে বের হচ্ছি।লোক জনের ভিড়াভিড়ি।আমি বরাবরি শেষ কাতারের মুসল্লি।১০ নম্বর লেইন জামে মসজিদে জুমা পড়ি বেশির ভাগ।আগে কেন্দ্রীয় মসজিদে পড়তাম।যেখানেই পড়ি না কেনো দ্বিতীয় তলার শেষ কাতারেই আমার স্থা্ন।সবার শেষে যাই আবার সবার আগে বেরিয়ে আসি।কিন্তু কিছু দিন যাবৎ মসজিদে একটু আগেই চলে যাই।ধরুন অধ ঘণ্টা আগে । বের হতে আর আগের মতো তাড়াহুড় করি না্ এখন।এর মানে এ নয় যে,আমি নতুন ধার্মিক হয়ে ওঠছি।একুশ বর্ষার প্রায় ষোলটি ধর্মের ভেতর কেটেছে।তাই নতুন করে ধার্মিক হ ওয়ার কিছুই নেই।সিঁড়ি দিয়ে নামছি।৫২ কেজি ওজেনের মানুষ,চিকন-চাকন,হেংলা-পাতলা।কেউ আমার সাথে ধাক্কা খাচ্ছে না, আমি সবার সাথে ধাক্কা খাচ্ছি।হঠাৎ উল্ট ব্যাপার,পেছনে কে জানি আমার সাথে এসে ধাক্কা খেলো।বেশ অবাক হযে ঘুরে তাকালম।এই ব্যক্তি কে ??আমার সাথে ধাক্কা খেলো???ভাবলাম আমিও বুঝি আজকাল শহুরে মানুষ হয়ে যাচ্ছি।সুপার কিওয়ারিযিটি।ঘাড় ঘুরাতেই দেখলাম এক ক্ষীণ কায়া ব্যক্তি।বয়স্ক।বেশ তড়িঘড়ি করে সিঁড়ি কেটে নামছে।গায়ে একটা ময়লা পাঞ্জাবী।আমি তাকে ফলো করতে শুরু করলাম।কিছু দূর নামতে মনে পড়লো জুতা ফেলে আসছি ওপরে।আবার জনতার ভিড় ভেদি সিঁড়ি বেয়ে ওঠতে লাগল...

শেখ মুজিবুর রহমান

ছবি
যারা আজও এই মানুষটির অবদান নিয়ে সন্দিহান এবং কুৎসা রটিয়ে বেড়ান তাদের সম্পর্কে সন্দ্বীপের কবি আবদুল হাকিম সপ্তদশ শতকেই লিখে গেছেন, যেসব বঙ্গে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী,/সেসব কাহার জন্ম নির্ণয়ে ন জানি।একথা কেনো বলছি ? "আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।তাঁর ব্যক্তিত্ব ও নির্ভীকতা হিমালয়ের মতো। এভাবেই তার মাধ্যমে আমি হিমালয়কে দেখেছি।'' - ফিদেল ক্যাস্ট্রো।প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, 'শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। 'ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, 'মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিতনা।' ভারতীয় বেতার 'আকাশ বানী' ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে, 'যিশুমারা গেছেন।নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেওয়া হয়, "পয়েট অফ পলিটিক্স বলে"। বৃটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন, "শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা"।জাপানী মুক্তি ফুকিউরা আজও বাঙালি দেখলে বলে বেড়ান,"তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তো...

কবি-টবি

ছবি
অনেক দিন ধরে একটা বিষয় নিয়ে লিখবো ভাবছি।কিন্তু বিষয়টা্ যতোটা না জটিল তার চেয়ে উপস্থাপন করাটা বেশি জটিল মনে হচ্ছে।কারণ ময়-মুরব্বির অভাব নেই। এই পোস্টি সবার কাজে আসবে না।এ ক্ষেত্রে যে বামুন শূদ্রের পার্থক্য বিদ্যমান।কেউ কেউ আছেন পোস্টিটির আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানা মাত্রই মনে মনে আমাকে একটু ঝেড়ে দেবেন।হয়তো বলবেন,পোস্ট দেয়ার জন্য তুই বুঝি আর বিষয় পায়লি না।আসলে পোস্ট দেয়ার মতো বিষয়ের কোনো সংকট নেই।আমি যদি আমাদের বাসার দারোয়ান সম্পর্কে লিখতে বসি হয়তো ছোট খাটো একটা উপন্যাস হয়ে যাবে।ধরুন আমি লিখলাম,কিভাবে সে সহজ কাজটা জটিল করে তোলে, দোকান থেকে সদায় আনতে দিলে কিভাবে ওস্টো খেয়ে হাত পা ছিঁড়ে পেলে, বিভিন্ন প্লেটে কাজ করতে আসা বুয়াদের সাথে কেমন করে রসিকতা করে,কিভাবে আমি তার রোষানলে পড়ি,আমার সাথে তার স্নায়ুবিক যুদ্ধের বর্তমান হালচাল,তার রোষানলে পড়ে আজকে আমার কী অবস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি । আসলে বলতে চাচ্ছি কবি ও কবিতা নিয়ে।যাদের ভেতর কবি-টবি ভাব আছে হয়তো তারা একটু পড়ে দেখবেন।এই বিষয়ে যে আমি খুব ভালো জানি তা না।কবিতা লেখার জন্য নাহোক অন্তত পড়ার জন্য যা প্রয়োজন তা সম্পর্কে কিন্তু মোটামুটি জ্ঞাত আছি।ব...