সৌদি আরব উচিৎ করছে না
পৃথিবীতে সবচেয়ে চরণ চাটা শাসকদের মধ্যে প্রথম সারির প্রথম হলো সৌদি শাসকরা।এ কথাটা বলতে আমাদের লজ্জা লাগলেও এটাই চরম বাস্তবতা।সৌদি আরবের অপরাধ সীমা অতীক্রমা করেছে।এরা এখন এমন এক পর্যয়ে চলে গেছে যে,কাবার ইমাম নিয়োগ দিতেও হস্তক্ষেপ করছে।আমেরিকার চরণ চাটা গোলামরা মুসলমানদের উন্নতি তো দূরের কথা বরং মুসলমানদের ধ্বংস করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।সৌদির প্রায় দুই লক্ষ্য বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে আমেরিকান সেনাদের ঘাঁটি অথচ রাসুল সাঃ এর স্পষ্ট হাদিস, ‘ইয়াহুদি খ্রিস্টানদের জাজিরাতুল আরব তথা আরব উপদ্বীপে ঢুকতে দিও না’।জাজিরাতুল আরব হলো উত্তরে সিরিয়ান মরুভূমি, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে পারস্য উপসাগর এবং পশ্চিমে লোহিত সাগর।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বর্তমান হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং করছে আমেরিকান সৈন্যরা।জাজিরাতুল আরবের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি রাষ্ট্রনয়ক এখন আমেরিকার খেলার পুতুল।কান ধরতে বললে কান ধরে,বসতে বললে বসে, উঠতে বললে উঠে।এই যখন পরিস্থিতি তখন মুসলমানদের অবস্থা বা অার কতোটুকু-ই ভালো থাকবে তা তো নতুন করে বলার কিছুই নাই।সবি দৃ্শ্যমান।
সৌদির দুটি জিনিস খুব প্রয়োজন।এক হলো রাজপরিবারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ভালো মানের শেল্টার।তাই বাদশা ফাহাদ সাদ্দামের ভয়ে সৌদিতে আমেরিকান সৈন্যের আগমন ঘটান।ব্যাপারটা কেমন জানি ‘মুরগীর ঠুকর থেকে বাঁচতে বাঘের কাছে আশ্রয়’।
আর দুই নাম্বার হলো আমেরিকান সোনালি কেশী নারী।শেখদের শয্যা সঙ্গী।আমেরিকা শুধু আরব দেশ গুলোতে নারী ব্যবসা করে কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করে মাসিক।
বর্তমান দ্বন্দ্বটা হলো ইরান ঠেকাও আন্দোলনের অংশ।কাতারের শেখ তামিম ইরানের দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে অভিনন্দন জানান এবং ইরানকে পরাশক্তি বলে সম্মানিত করেন।যা সৌদির মোটেও পছন্দ হয়নি।আসল ঘরে ব্যাপারটা আমেরিকার পছন্দ হয়নি তাই সৌদিসহ তাদের চাটুকরদেরকে দ্রুত সম্পর্ক ছিন্নের নির্দেশ দেয়া হয়।চাটুকররাও প্রভূকে খুশি করতে সম্পর্ক ছিন্ন করে কথাটির প্রতিশোধ নিচ্ছে।যদি প্রভূ অখুশি হন তবে রাজতন্ত্র থাকবে না।আবার থাকবে না শয্যা সঙ্গী লাল চামরার আমেরিকান সুন্দরী।ছি!
যে আরব দেশ গুলো অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে পারেনি ইসারাইলি আগ্রাসণের বিরুদ্ধে এক হতে,সেই আরবরাই কাতারের মতো শান্তি প্রিয় মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে রাতারাতি এক হয়ে গেলো! আরবদের এই ঐক্যে আমরা চরম ভাবে লজ্জিত।এই রমজানে তারা কাতারের সাথে সড়ক,নৌ,বিমানসহ সকল যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা করে।এতে কাতারে থাকা শ্রমিকরা চরম ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।কারণ খাদ্যের সংকট দেখা দেবে।কাতার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাথা পিছু আয়ের দেশ তাই পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে কাতারিদের সমস্যা খুব একটা না হলেও শ্রমিকদের পড়তে হবে চরম সংকটে।
ইয়ামেন বেসামরিক মানুষ মেরে সৌদি যে রণকৌশলের পরিচয় দিচ্ছে তাকে নিন্দার ভাষা তো আমাদের জানা নেই।পবিত্র রামজানেও তারা এই জঘন্য হামলা পরিহার করেনি।অথচ রমজানে আমেরিকা পর্যন্ত ইরাক আফগানে যুদ্ধ স্থগিত করতো।ছি! সৌদির আগ্রাসণ থেকে বাদ পড়েনি হাসপাতালও।এক হসপিটালে হামলা করে গত বছর হত্যা করে ছিলো অর্ধ শতাদিক বেসামরিক লোক।যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলো নারী ও শিশু।হজের অব্যবস্থাপনার কথা তো সকলেরি জানা।ক্রেন দূর্ঘটনা।রাজ কুকুরের আগমনে(রাজপুত্র) সাতটি বাই পাস বন্ধ করে দিয়ে শতশত মানুষকে পায়ে পেসা এবং এর জন্য আবার ইরানকে দোষী করে গা বাঁচানোর নির্লজ্জ চেষ্টা।এখন সৌদির জন্য শুধু ঘৃণা হয়।
গত সপ্তাহে নারী উন্নয়নের জন্য ডোনাল ট্রাম্পকে ১০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে সৌদি সরকার।অথচ ফিলিস্তিনে মানুষ বিদ্যুৎ,পানি আর খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।সৌদি চাইলে দিনে দিনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করে দিতে পারে।কিছু লাগবে না শুধু কূটনৈতিক চেষ্টা আর সদিচ্ছা প্রয়োজন।ইরাক,সিরিয়া,মিশর,ফিলিস্তিনের অরাজকতার পেছনে সৌদি অনেকাংশে দায়ী।সৌদির বন্ধু রাষ্ট্র যারা তাদের মধ্যে আছে আমেরিকা,ইসরাইল,ফ্রান্স,ব্রিটেন এবং পাকিস্তান।বাকিটা ভেবে দেখুন।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন