শিশু জান্নাতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।
আপনার ১৩৪ টাকায় বেঁচে যেতে পারে শিশুটির জীবন।
মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য।সুন্দর এ পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে মূল্যবান আর কোনো বস্তু নেই।তাই মানুষের তরে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে মানুষ মহামনীষীতে রুপান্তরিত হয়েছে।বাংলার হাতেমতাই হাজি মুহাম্মদ মুহসিনের কথা তো সকলের জানা।তিনি কী করে এখনো মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসায় লালিত হন? একমাত্র মানব প্রেমের কারণে।১৭৩২ সালে জন্ম গ্রহণ করে এই মানুষটি পৃথিবী ছেড়ে গেছেন ১৮১২ সালে।৮০বছর জীবনে তিনি এমন কী করে ছিলেন যে,তার মৃত্যুর ২০৫ বছর পরও মানুষ তাঁকে স্মরণ করে? উত্তর তো সকলেরি জানা, তিনি মানুষকে ভালোবেসে অমরত্ব গ্রহণ করেছেন সসীম পৃথিবীতে।
হাতেম তাই নিজে না খেয়ে অন্যকে খাদ্য দিয়েছেন।দুর্ভিক্ষের সময় মানুষকে খাদ্য বিতরণ করতে করতে নিজের ঘর খালি করে ফেলে ছিলেন।শেষ পর্যন্ত খাদ্যের অভাবে হাতেমতাইর নিজ সন্তান ছটফট করতে করতে তাঁর সামনেই মারা গিয়ে ছিলো।দুর্ভিক্ষের এমন কঠিন মুহূর্তেও তারা মানব প্রেম ছাড়েনি।তাই তো তিনি বিশ্বজুড়ে সম্মানিত হাতেমতাই।
বন্ধুরা,আমি আপনাদের কাছে খুব মিনতি করে কয়েকটি কথা বলবো যদি আপনাদের অন্তরে আমার কথা গুলোর স্থান হয় তবে আপনার এগিয়ে আসুন।হাত প্রসারিত করুন।
বলছিলাম একটি ফুটফুটে শিশুর কথা।শিশু জান্নাত কিছু দিন যাবৎ ব্রেনটিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।ষোল লাখ টাকা তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন।তার বাবার Owashim Osman বেশ কিছু দিন ধরে ফেইসবুকে শিশুটির অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে পোস্ট করছেন।অনেকে তার ডাকে সাড়া দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাত বাড়িয়েছেন।একজন মা-জননী জানেন সন্তানের সঠিক সংজ্ঞা কী।একজন পিতা জানেন সন্তান হৃদয়ের কোথায় বাস করে।পাখির ছানা যখন দস্যি শিশুরা ধরে নিয়ে যায় তখন মা-পাখিটির অবস্থা অবলোকন করুন।আপনার মা-বাবা সম্পর্কে সঠিক ধরনা এসে যাবে।শিশু জান্নাতের পিতার কথা শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।তিনি বারবার বলছেন ভাই আমার সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।জানি না ওয়াসিম ভায়ের প্রাণটা কেমন করছে,আমার হৃদয়টা যেনো ফুঁপিয়ে কাঁদছে বারবার।
বন্ধুরা,এই শিশু জান্নাত তো এই সমাজের সদস্য।আমাদেরই সন্তান।
মাত্র তিন বছর দু মাস তার বয়স।এখন তো তার খিলখিল করে হাসার সময়।এখন তো তার পুতুল খেলার সময়।এখন তো তার হাসপাতালে যাওয়ার সময় নয়।এখন তো তার চোখে জল মানায় না।এখন তো কষ্টে চিৎকার মানায় না।চলুন হাসপাতাল নয় জান্নাতকে নিজ বাড়িতে ফিরে দিই।জান্নাত আবার খিলখিল করে হেসে ওঠুক বাবার কোলে।তার চিকিৎসার জন্য ষোল লাখটাকা আমরা ব্যবস্থা করে দিই।সে তো আমাদেরই সন্তান।
প্রজাপতি বই নিকুঞ্জ গ্রুপ ও পেইজে যারা আছেন তাদের কে বলছি,এই গ্রুপে আমারা ১২হাজার মানুষ আছি।যদি একজন ১৩৪ টাকা করে জান্নাতের চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য দান করি ১৬০৮০০০টাকা ওঠবে, যা তার চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত। খুব মিনতি করে বলছি মাত্র ১৩৪টাকার জন্য আপনি ঠেকবেন না।আসুন জান্নাতের জন্য এগিয়ে আসি।আল্লাহ আপনাকে প্রতিদান দেবেন।
বিনীত অনুরোধে
প্রজাপতি বই নিকুঞ্জ পরিবার
টাকা পাঠতে পারেন বিকাশ নাম্বারে
প্রজাপতি বই নিকুঞ্জ 01854586652 ,01620916643 (পার্সোনাল)
স্বহস্তে দিতে পারেন আমাদের অফিসেঃ বাড়ি নং ১১ ,রোড নং 2,এব্লক,হালিশহর,চট্টগ্রাম।
জান্নাতের বাবা ওয়াসিম ওসমানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারে 01633613975,


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন