রেইনবো (LGBT )
রেইনবো বিতর্কটি ইদ উপলক্ষ্যে গ্রামীণ ফোনের সৌজন্যে RTV তে প্রচারিত নাটক রেইনবো থেকে শুরু।নাটকরে বৈশিষ্ট্য অনুযায় নাটকটি চমৎকার হয়েছে।অত্যাধুনিক ক্যামেরা এবং বিলাসবহুল সাজ-সজ্জা নাটকে এনেছে বিশেষ অাকর্ষণ।অবশ্যই দেশের শীর্ষ ফোন কম্পানি গ্রামীণ-ই এই নাটকের স্পন্সর এবং RTV এর মতো জনপ্রিয় টিভিতে এই নাটকের এক্সিভিশন হয়েছে।সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ হলো নাটকের চরিত্রে ছিলো জনপ্রিয় নায়কা নুসরাত ইমরোজ তিশা।বাংলাদেশে আরো হাজার হাজার নাটক হয়েছে কিন্তু ওসব নাটক নিয়ে আমাদের মাঝে কখনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে খুব ভালো নাটক তৈরি হলেও তা নিয়ে কখনো সামাজিক সাইড গুলোতে কাউকে সরব হতে দেখা যায় না।কিন্তু রেইনবোকে নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক।রেইনবো নাটকে মর্ডান ইনুস্ট্রোম্যান্ট ব্যবহার করে জৌলস দেয়া হয়েছে।সমস্যার জায়গাটা হলো রেইনবোর বিষয় নিয়ে।নাটকে সমকামী চরিত্রে শিব্বির নামে অভিনয় করেছে আবির মির্যা । হিমেল নামে দুর্বল-পুরুষের(স্ত্রীর কছে) চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনি কবির। ঘটনাটিকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে,নাটকের শেষ পর্যন্ত একটা আমেজ দর্শকদের ভেতরে কাজ করে। নাটকের নাম রেইনবো হওয়ার কারণ হচ্ছে আর্তজাতিক বিশ্বে সমকামীরা রেইনবো নামে পরিচিত।
আমরা অনেক সময় ফেইসবুকে রেইনবো ফ্যালগ আমাদের প্রোপাইলে ব্যবহার করি।কিন্তু আমারা জানি না যে এটা কিসের প্রতীক।2015 এর মাঝা মাঝিতে মার্কজুকার বার্গ নিজের ফেইসবুক প্রোপাইলে রেইনবো ফ্যালগ দিয়ে সমকামীদের প্রতিসমর্থন জানায়।এই হুজুগে আমাদের অনেকে রেইনবো ফ্যাল ইউজ করা শুরু করেন।একজন পরিচিত মেয়ের ফেইসবুকে রেইনবো ফ্যালগ দেখে একটু ঝটকা খেলাম।ইনবক্স করে জানলাম,ও বিষয়টি জানতো না।LGBT ফ্যালগটা স্বকামী,সমকামী,উভয়কামী,এবং উভয়লিঙ্গের মানুষ গুলো গৌরবের প্রতীক বলে ব্যবহার করে আসছে 1970 থেকে।
LGBT এর এ্যাভরিবিয়েশন হলো
L- Lesbian ( স্বকামী ) a homosexual, especially woman.এরা এক প্রকার মানসিক সমস্যায় ভোগেন।যৌন প্রশান্তির জন্য এরা নিজেদের বিভিন্ন অঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। গোপন কোনো জায়গায় এসব কাজ করন বলে এদের সংখ্যা নিরুপন করা অর্ন্তজাতিক সংস্থা গুলোর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।এ কাজ চর্চায় তরুণ-তরুণীরা বেশ অগ্রসর বলে বিভিন্ন স্বাস্থ সংস্থা মত দিচ্ছে।কারণ বর্তমান সমাজে অধিকাংশ দাম্পত্য জীবন অনলে পরিনত হচ্ছে যুবক বয়সে ছেলে মেয়েদের এভাবে যৌবন বিকিয়ে দেয়ার ফলে।দাম্পত্য জীবনে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অশান্তির সৃষ্টি হয়।
G- Gay (সমকামী) a homosexual, especially a man.
Some even try to hide their homosexuality by badmouthing gays and lesbians generally.
B- Bisexual(উভয় কামী)a person who is sexually attracted to both men and women.The Centers for Disease Control and Prevention is for the first time recommending that all sexually active gay and bisexual men be tested at least once a year for HIV.
T- transgenders( উভয় লিঙ্গ )denoting or relating to a person whose self-identity does not conform unambiguously to conventional notions of male or female gender.
এ চারটি গ্রুপ মিলে তৈরি করেছে LGBT এবং এরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে অান্দোলন করে যাচ্ছে তাদের বিয়ের বৈধতা দেয়ার জন্য।সম্প্রতিক ফ্রান্সের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এর বৈধতা দিয়েছেন। তিনি নিজেও একজন সমকামী।ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেবিট ক্যামেরুন ও একি পন্থি ছিলেন।ওসব দেশের কথা বলে মুসলিম দেশ গুলোর বিচার করা যাবে না।সমকামিতা ইসলাম ধর্মে কবিরা গুনাহ বলে স্বীকৃত।Gay,Bisexual,transgenders,Lesbian এরা প্রত্যেকি এই গুনাহের সাথে জড়িত।ইসলাম তো এটাকে কোনো ভাবেই সমর্থন করে না। আল্লাহর নির্দেশে হযরত লুত আঃ এর উম্মাতকে গভীর রাতে হযরত জিব্রাইল আঃ কতৃর্ক ধ্বংস করা হয়েছে এই একি অভিযোগে।সেই ঐতিহাসিক কলঙ্কিত জায়গাটি হলো ‘ডেট সি’ বা মৃত সাগর।যা এখনো জর্ডানে অবস্থিত।
এসব সমস্যা একটি সময় মানসিক সমস্যায় রুপ নেই,এবং এরা বিবাহিত জীবন অশান্তিতে কাটায়।আমাদের চারপাশে এমন মানুষের কমতি নেই।হয়তো সংখ্যায় কম। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরাই এর সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িত।বছর খানেক আগে কলামিস্ট ও সাবেক আঃলীগ এমপি গোলাম মাওলা রনি খুব বিস্ময় প্রকাশ করে বলে ছিলেন,বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশের রাজধানীতেও নাকি রাতের বেলায় সমকামীদের বৈধতার জন্য আন্দোলন হয়ে ছিলো।ঢাকায় প্রায় 30টা সমকামী পরিবার রয়েছে।খুব আশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশের রাজনীতিবিদসহ বেশ কিছু বুদ্ধিজীবীও সমকামী।
এরা স্বাভাবিক নয়, এ্যাবনরমাল।শিশু রাজন হত্যার পেছনে মূল বিষয় ছিলো সমকামিতা।শিশুটি রাজি না হওয়ায় তাকে চোর বলে মেরে ফেলা হয়।এই সমকামিতাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী সমকামীদের বিভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠছে।তারই ফল হলো পবিত্র ইদের আনন্দে আপনাকে সমকামিতার বৈধতা দিতে উৎসাহী করছে রেইনবো।গ্রামীণ ফোন ও আরটিভির স্পর্ধা দেখে আমরা বিস্মিত।বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে এদের তৎপরাতা বেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে।রমজানের আগে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৫০ জনকে আন্দোলন রত অবস্থা থেকে ধরে নেয়া হয়েছে।ইস্তাম্বুল,মালে,ইসলামাবদ,ঢাকা,নয়া দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজধানীতে সমকামীরা অান্দোলন করেছে ২০১৫ সালে।অতএব সমস্যা সমাধানের সময় এসেছে।সকলের বোধোদয় হোক।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন