শেখ মুজিবুর রহমান
যারা আজও এই মানুষটির অবদান নিয়ে সন্দিহান এবং কুৎসা রটিয়ে বেড়ান তাদের সম্পর্কে সন্দ্বীপের কবি আবদুল হাকিম সপ্তদশ শতকেই লিখে গেছেন, যেসব বঙ্গে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী,/সেসব কাহার জন্ম নির্ণয়ে ন জানি।একথা কেনো বলছি ? "আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।তাঁর ব্যক্তিত্ব ও নির্ভীকতা হিমালয়ের মতো। এভাবেই তার মাধ্যমে আমি হিমালয়কে দেখেছি।'' - ফিদেল ক্যাস্ট্রো।প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, 'শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। 'ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, 'মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিতনা।' ভারতীয় বেতার 'আকাশ বানী' ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে, 'যিশুমারা গেছেন।নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেওয়া হয়, "পয়েট অফ পলিটিক্স বলে"। বৃটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন, "শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা"।জাপানী মুক্তি ফুকিউরা আজও বাঙালি দেখলে বলে বেড়ান,"তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তোমাদের শেখ মুজিবের মতো সিংহ হৃদয়বান নেতার জন্ম হবে না বহুকাল।"
উপরে বেশ কিছু উক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।যা এই মহান নেতা সম্পর্কে বিশ্বের বড় বড় প্রভাবশালী পত্র পত্রিকা ও ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন।তার অত্মজীবনী পড়ে বুঝতে পারি তিনি হত দরিদ্রেরই বন্ধু হয়ে এসে ছিলেন ধরাতে।খোদ পাকিস্তানী কারারক্ষি বলেছিলো যখন তাকে বলাহয় বাঙালী নেতারা যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়েছে,সমজতা হয়েছে,তখন তিনি বলেছিলেন বাংলার মানুষ কক্ষনো তা করবে না।তার বেইমান নয়।
১৭ই মার্চ, ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়রা বেগমের ঘরে জন্ম নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল ও কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়াশনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। ১৮ বছর বয়সে বেগম ফজিলাতুন্নেসার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাদের ২ মেয়ে - শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তিন ছেলে- শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।
শাহাদাত বরণের আগ মুহূর্তের কিছু কথা
‘সেদিন ভোর রাতে বাড়িটির দক্ষিণ দিক থেকে সরাসরি আক্রমণ শুরু হয়। একটু পরেই বঙ্গবন্ধু তার ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসেন। বেগম মুজিবের কথায় আমি নিচে নেমে মেইন গেটের বাইরে এসে দেখি সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য গুলি করতে করতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে এগোচ্ছে। তখন আমি বাড়ির ভেতরে ফিরে দেখি, লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধু নিচতলায় নামছেন’গৃহকর্মীর বলেন।
গোলাগুলির মধ্যে অভ্যর্থনা কক্ষে বঙ্গবন্ধুর সামনেই বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন মহিতুল ইসলাম। পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও গণভবন এক্সচেঞ্জে চেষ্টার এক পর্যায়ে রিসিভার নিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি’।সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে লিখতে।কিন্তু ইতিহাসের অপ্রিয় কথা গুলো লিখতেই হবে।একজন প্রেসিডেন্ট কেমন অসহায় হয়ে গেলেন মুহূতেই।যিনি বাঙালী জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন।যিনি জাতিকে স্বাধীন ভাবে বাঁচার স্বাদ দিয়েছেন।তার সাথে সে জাতির কেমন নিমক হারামি কাণ্ড।
‘সেদিন ভোর রাতে বাড়িটির দক্ষিণ দিক থেকে সরাসরি আক্রমণ শুরু হয়। একটু পরেই বঙ্গবন্ধু তার ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসেন। বেগম মুজিবের কথায় আমি নিচে নেমে মেইন গেটের বাইরে এসে দেখি সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য গুলি করতে করতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে এগোচ্ছে। তখন আমি বাড়ির ভেতরে ফিরে দেখি, লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধু নিচতলায় নামছেন’গৃহকর্মীর বলেন।
গোলাগুলির মধ্যে অভ্যর্থনা কক্ষে বঙ্গবন্ধুর সামনেই বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন মহিতুল ইসলাম। পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও গণভবন এক্সচেঞ্জে চেষ্টার এক পর্যায়ে রিসিভার নিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি’।সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে লিখতে।কিন্তু ইতিহাসের অপ্রিয় কথা গুলো লিখতেই হবে।একজন প্রেসিডেন্ট কেমন অসহায় হয়ে গেলেন মুহূতেই।যিনি বাঙালী জাতিকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন।যিনি জাতিকে স্বাধীন ভাবে বাঁচার স্বাদ দিয়েছেন।তার সাথে সে জাতির কেমন নিমক হারামি কাণ্ড।
বঙ্গবন্ধু তাঁর কথা শেষ করতে পারেননি। একঝাঁক গুলি জানালার কাচ ভেঙে অফিসের দেয়ালে লাগে। বঙ্গবন্ধু তখন টেবিলের পাশে শুয়ে পড়েন। এর মধ্যেই গৃহকর্মী আব্দুলকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে তার পাঞ্জাবি ও চশমা পাঠিয়ে দেন বেগম মুজিব। কিছুক্ষণ পর গুলিবর্ষণ থেমে গেলে বঙ্গবন্ধু উঠে দাঁড়িয়ে আব্দুলের হাত থেকে পাঞ্জাবি আর চশমা নিয়ে পরেন। নিচতলার এই ঘর থেকে বারান্দায় বের হয়ে বঙ্গবন্ধুর পাহারায় থাকা সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘এতো গুলি হচ্ছে, তোমরা কী করছ?’ -এ কথা বলেই বঙ্গবন্ধু উপরে চলে যান।
বঙ্গবন্ধু উপরে উঠতে না উঠতেই শেখ কামাল নিচে নেমে বারান্দায় দাঁড়ান। তখন কোনো কথা না বলেই শেখ কামালের পায়ে গুলি করে বজলুল হুদা। নিজেকে বাঁচাতে লাফ দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে পড়েন শেখ কামাল। বলতে থাকেন, ‘আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে শেখ কামালকে লক্ষ্য করে বজলুল হুদা তার হাতের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ব্রাশফায়ার করে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান শেখ কামাল।
আব্দুর রহমান রমা আরো বলেন, নিচে কী হচ্ছে তার কিছুটা আঁচ করতে পেরে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ফোনে তার সামরিক সচিব কর্নেল জামিলউদ্দিনকে পান। তিনি তাকে বলেন, “জামিল, তুমি তাড়াতাড়ি আসো। আর্মির লোকরা আমার বাসা অ্যাটাক করেছে। সফিউল্লাহকে ফোর্স পাঠাতে বলো।”
বঙ্গবন্ধু উপরে উঠতে না উঠতেই শেখ কামাল নিচে নেমে বারান্দায় দাঁড়ান। তখন কোনো কথা না বলেই শেখ কামালের পায়ে গুলি করে বজলুল হুদা। নিজেকে বাঁচাতে লাফ দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে পড়েন শেখ কামাল। বলতে থাকেন, ‘আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে শেখ কামালকে লক্ষ্য করে বজলুল হুদা তার হাতের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ব্রাশফায়ার করে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান শেখ কামাল।
আব্দুর রহমান রমা আরো বলেন, নিচে কী হচ্ছে তার কিছুটা আঁচ করতে পেরে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ফোনে তার সামরিক সচিব কর্নেল জামিলউদ্দিনকে পান। তিনি তাকে বলেন, “জামিল, তুমি তাড়াতাড়ি আসো। আর্মির লোকরা আমার বাসা অ্যাটাক করেছে। সফিউল্লাহকে ফোর্স পাঠাতে বলো।”
পরে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল সফিউল্লাহকেও ফোন করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তাকে বলেন, “সফিউল্লাহ তোমার ফোর্স আমার বাড়ি অ্যাটাক করেছে, কামালকে (শেখ কামাল) বোধ হয় মেরে ফেলেছে। তুমি জলদি ফোর্স পাঠাও।"এরপর ঘাতকরা গুলি করতে করতে ওপরে চলে যায়। তারা শেখ জামালের ঘরের বাথরুমে আশ্রয় নেয়া গৃহকর্মী আব্দুলকে গুলি করে। হাতে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থাতে তিনি সিঁড়ির পাশে গিয়ে হেলান দিয়ে বসে থাকেন।
‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?
বঙ্গবন্ধুর ঘরে তিনি ছাড়াও ছিলেন বেগম মুজিব, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, রোজী জামাল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ঘরের বাইরে অবস্থান নেয়। গোলাগুলি থামলে বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসলেই ঘাতকরা তাকে ঘিরে ধরে। মেজর মহিউদ্দিন ও তার সঙ্গের সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে যেতে থাকে। ঘাতকদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?’
এ সময় নিচতলা ও দোতলায় সিঁড়ির মাঝামাঝি অবস্থান নেয় বজলুল হুদা ও নূর। বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে আসার সময় নূর কিছু একটা বললে মহিউদ্দিন সরে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বজলুল হুদা ও নূর তাদের স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে।নিবে গেলে।স্তব্ধ হয়ে গেলো।থমকে গেলো।ঝরে গেলো।শহিদ হলো এক যীশু।
বঙ্গবন্ধুর ঘরে তিনি ছাড়াও ছিলেন বেগম মুজিব, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, রোজী জামাল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ঘরের বাইরে অবস্থান নেয়। গোলাগুলি থামলে বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসলেই ঘাতকরা তাকে ঘিরে ধরে। মেজর মহিউদ্দিন ও তার সঙ্গের সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে যেতে থাকে। ঘাতকদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?’
এ সময় নিচতলা ও দোতলায় সিঁড়ির মাঝামাঝি অবস্থান নেয় বজলুল হুদা ও নূর। বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে আসার সময় নূর কিছু একটা বললে মহিউদ্দিন সরে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বজলুল হুদা ও নূর তাদের স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে।নিবে গেলে।স্তব্ধ হয়ে গেলো।থমকে গেলো।ঝরে গেলো।শহিদ হলো এক যীশু।
শেখ রাসেলের ছবি দেখে শেখ হাসিনা কেনো কাঁদে??
রামা জানান, দোতলায় হত্যাযজ্ঞ শেষে রাসেল এবং তাকে যখন নীচে নিয়ে আসা হয়। শেখ রাসেল পালানোর চেষ্টা করছিলো ছোট্ট দুটো পায়ে।যে খানে যায় রক্ত।তখন পৃথিবী বলতে যে শিশুটি শুধু খেলা,আবদার,বায়েনা বলে বোঝে সেই নিস্পাপ শিশু রাসেল ভীত কণ্ঠে বলছিলো ‘ ভাইয়া, আমাকে মারবে না তো ? খোদর আরস বুঝি কেঁপে ছিলো সেদিন।এরকম শিশুকে নিশ্চয়ই খুনিরা মারবে না এ আশায় মুহিতুল ইসলাম তাকে জড়িয়ে ধরে বলছিলেন: ‘না, ভাইয়া, তোমাকে মারবে না’।ছোট্ট মানুষ অত রক্ত সে কখনো্ দেখেনি।যার পিতা সাতে মার্চে দীপ্ত কণ্ঠে বলে ছিলো“যদি আরেকে একটি রক্ত ঝরে তোমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।সেই পিতার অবুঝ শিশু পিতার রক্তে রক্তাক্ত।পরে রাসেল বলে, ‘আমি মায়ের কাছে যাবো।অবোঝ আবদার।সে জানে না তার স্নেহময়ী মা তার সাথে আর কথা বলবে না।ভীত সন্ত্রস্ত রাসেলকে ওই হাবিলদার হাত ধরে দোতলায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর দোতলায় গুলি এবং সেখান থেকে কান্নাকাটির আওয়াজ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আর ওই হাবিলদার নীচে গেটের কাছে এসে মেজর আজিজ পাশাকে বলে: ‘স্যার, সব শেষ।’কিন্তু শেখ রাসেল কে দেখে ঘাতকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলো।তারপর ছোট্ট শিশুটিকে নির্মম ভাবে দেয়ালের সাথে আচড়ে মারা হয়।রাসেল তাদের পা ধরেছিলো বাঁচার জন্য কিন্তু পশুরা তাকে ও বাঁচতে দেয়নি।
রামা জানান, দোতলায় হত্যাযজ্ঞ শেষে রাসেল এবং তাকে যখন নীচে নিয়ে আসা হয়। শেখ রাসেল পালানোর চেষ্টা করছিলো ছোট্ট দুটো পায়ে।যে খানে যায় রক্ত।তখন পৃথিবী বলতে যে শিশুটি শুধু খেলা,আবদার,বায়েনা বলে বোঝে সেই নিস্পাপ শিশু রাসেল ভীত কণ্ঠে বলছিলো ‘ ভাইয়া, আমাকে মারবে না তো ? খোদর আরস বুঝি কেঁপে ছিলো সেদিন।এরকম শিশুকে নিশ্চয়ই খুনিরা মারবে না এ আশায় মুহিতুল ইসলাম তাকে জড়িয়ে ধরে বলছিলেন: ‘না, ভাইয়া, তোমাকে মারবে না’।ছোট্ট মানুষ অত রক্ত সে কখনো্ দেখেনি।যার পিতা সাতে মার্চে দীপ্ত কণ্ঠে বলে ছিলো“যদি আরেকে একটি রক্ত ঝরে তোমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।সেই পিতার অবুঝ শিশু পিতার রক্তে রক্তাক্ত।পরে রাসেল বলে, ‘আমি মায়ের কাছে যাবো।অবোঝ আবদার।সে জানে না তার স্নেহময়ী মা তার সাথে আর কথা বলবে না।ভীত সন্ত্রস্ত রাসেলকে ওই হাবিলদার হাত ধরে দোতলায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর দোতলায় গুলি এবং সেখান থেকে কান্নাকাটির আওয়াজ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আর ওই হাবিলদার নীচে গেটের কাছে এসে মেজর আজিজ পাশাকে বলে: ‘স্যার, সব শেষ।’কিন্তু শেখ রাসেল কে দেখে ঘাতকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলো।তারপর ছোট্ট শিশুটিকে নির্মম ভাবে দেয়ালের সাথে আচড়ে মারা হয়।রাসেল তাদের পা ধরেছিলো বাঁচার জন্য কিন্তু পশুরা তাকে ও বাঁচতে দেয়নি।


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন