স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভঙ্গুরে দেশের সংকটের যেমনি কোনো সীমা ছিলনা তেমনি ছিলোনা খাদ্য, অর্থ,শীতে নিবারনের জন্য মানুষের নুন্যতম বস্ত্র।দরিদ্র এদেশকে ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত করতে শুধু হিমশিম খেতে নয় হাত পাত্তে হয় উন্নত দেশগুলোর দিকে।আর সে সুযোগ বুঝে ফায়দা লুটাতে চেয়ে ছিলো অনেক দেশ।তাই তো আমার দেশকে নিয়ে হ্যানরি কিসিনজার বলেছিলো “বাংলাদেশ তো তলা বিহীন ঝুড়ি মতো”।সে যুগের অবশান ঘটিয়ে আজ বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে সসম্যানে আসিন।ক্ষুদা,দারিদ্রতা,অশিক্ষার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসার দিন এখন সময় বলে দেয়ার অপেক্ষা মাত্র।
উৎক্ষেপনের অনুমোদন
যুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটি দেশকে সয়ংসম্পূর্ণ দেশে রুপান্তর করার সকল চক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁকে ছিলেন।তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৪জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান চট্টগ্রামের বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।এরপর আরো একটি ভূ উপগ্রহ স্থাপন করা হয় গাজিপুরের তালিবাবাদে।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের কথা সর্বপ্রথম উপস্থাপন করা হয় ২০১২ সালে।২০১৩ সালে এর উৎক্ষেপন সংক্রান্ত কথা চূড়ান্ত করা হয়।২০১৪ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার একনেকের এক সভায় এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একনেকে অনুমোদিত হওয়া এ প্রকল্প বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় টেলিকমিউনিকেশন ও ব্রডকাস্টিং সেবা দিতে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করা হবে।নির্মানের পর স্যাটেলাইটটি অরবিটাল স্লটে স্থাপন করা হবে। ভূমি থেকে স্যাটেলাইটটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২টি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হবে।। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে সরকার (জিওবি) এক হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং সংস্থার প্রকল্প সাহায্য এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা এর ব্যয় ধরা হয়।
যুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটি দেশকে সয়ংসম্পূর্ণ দেশে রুপান্তর করার সকল চক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁকে ছিলেন।তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৪জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান চট্টগ্রামের বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।এরপর আরো একটি ভূ উপগ্রহ স্থাপন করা হয় গাজিপুরের তালিবাবাদে।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের কথা সর্বপ্রথম উপস্থাপন করা হয় ২০১২ সালে।২০১৩ সালে এর উৎক্ষেপন সংক্রান্ত কথা চূড়ান্ত করা হয়।২০১৪ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার একনেকের এক সভায় এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একনেকে অনুমোদিত হওয়া এ প্রকল্প বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় টেলিকমিউনিকেশন ও ব্রডকাস্টিং সেবা দিতে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করা হবে।নির্মানের পর স্যাটেলাইটটি অরবিটাল স্লটে স্থাপন করা হবে। ভূমি থেকে স্যাটেলাইটটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২টি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হবে।। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে সরকার (জিওবি) এক হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং সংস্থার প্রকল্প সাহায্য এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা এর ব্যয় ধরা হয়।
চুক্তি
দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য ফ্রান্সের থ্যালাস এলিনা স্পেসের সঙ্গে চুক্তি১১নভেম্বর চুক্তি করে সরকার। ১১ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য ফ্রান্সের থ্যালাস এলিনা স্পেসের সঙ্গে চুক্তি১১নভেম্বর চুক্তি করে সরকার। ১১ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
আয়
বিটিআরসি’র হিসাবে, প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে প্রায় দুই লাখ $ দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ $ বিদেশী স্যাটেলাইট ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে।টাকার অঙ্কে যার পরিমান ১১২কোটি টাকার উপরে। এই পুরো টাকাটাই বিদেশে চলে যায়। বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে ভাড়া বাবদ খরচ হওয়া এই অর্থ সাশ্রয় হবে। চুক্তি সই করে এসপিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রুস ক্রাসলসকি বলেছিলেন, যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার পর বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন $ আয় করতে পারবে।৪০টি ট্রান্সপন্ডার বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি সফল ভাবে উৎক্ষেপন করা গেলে ২০ টি ট্রান্সপন্ডার দেশের জন্য ব্যবহার করে বাকি ২০ টি নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো দেশে ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আয় করা যাবে।
বিটিআরসি’র হিসাবে, প্রতিটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে প্রায় দুই লাখ $ দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ $ বিদেশী স্যাটেলাইট ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে।টাকার অঙ্কে যার পরিমান ১১২কোটি টাকার উপরে। এই পুরো টাকাটাই বিদেশে চলে যায়। বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে ভাড়া বাবদ খরচ হওয়া এই অর্থ সাশ্রয় হবে। চুক্তি সই করে এসপিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রুস ক্রাসলসকি বলেছিলেন, যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার পর বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন $ আয় করতে পারবে।৪০টি ট্রান্সপন্ডার বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি সফল ভাবে উৎক্ষেপন করা গেলে ২০ টি ট্রান্সপন্ডার দেশের জন্য ব্যবহার করে বাকি ২০ টি নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো দেশে ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আয় করা যাবে।
ব্যবহার
সরকারের ভাষ্যানুযায় প্রধানত নিম্নলিখিত কাজে স্যাটেলাইট এর ব্যবহার করা যাবে
মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ,টিভি বা রেডিও চ্যানেল, ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রযুক্তি, নেভিগেশন বা জাহাজের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনায়, পরিদর্শন - পরিক্রমা (সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুর অবস্থান জানার জন্য) ,দূর সংবেদনশীল ,মাটি বা পানির নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে ,মহাশূন্য এক্সপ্লোরেশন, ছবি তোলার কাজে, সরকারের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,হারিকেন, ঘূর্ণিঝড়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর পূর্বাভাস, আজকাল সন্ত্রাসীরা অনেক রিমোট এরিয়া তেও স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে,গ্লোবাল পজিশনিং বা জি পি এস , গামা রে বারস্ট ডিটেকশন করতে ,পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং আসন্ন হামলা ছাড়াও স্থল সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য ইন্টিলিজেন্স সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা পেতে, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিভিন্ন খনি্র সনাক্তকরণ ইত্যাদি, ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা।
সরকারের ভাষ্যানুযায় প্রধানত নিম্নলিখিত কাজে স্যাটেলাইট এর ব্যবহার করা যাবে
মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ,টিভি বা রেডিও চ্যানেল, ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রযুক্তি, নেভিগেশন বা জাহাজের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনায়, পরিদর্শন - পরিক্রমা (সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুর অবস্থান জানার জন্য) ,দূর সংবেদনশীল ,মাটি বা পানির নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে ,মহাশূন্য এক্সপ্লোরেশন, ছবি তোলার কাজে, সরকারের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,হারিকেন, ঘূর্ণিঝড়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর পূর্বাভাস, আজকাল সন্ত্রাসীরা অনেক রিমোট এরিয়া তেও স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে,গ্লোবাল পজিশনিং বা জি পি এস , গামা রে বারস্ট ডিটেকশন করতে ,পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং আসন্ন হামলা ছাড়াও স্থল সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য ইন্টিলিজেন্স সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা পেতে, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিভিন্ন খনি্র সনাক্তকরণ ইত্যাদি, ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা।
জটিলতা
৫ বছর আগে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) থেকে ১০২ ডিগ্রিপূর্ব স্লট পেলেও যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ এ স্লট বিষয়ে আপত্তি দিয়েছে বলে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বিকল্প পথ খুঁজতে মাঠে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিকল্পগুলো নিয়েও আছে নানা জটিলতা।এখানে আপত্তি জানিয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীনসহ আরও কয়েকটি দেশ। ফলে অরবিটাল স্লট নিয়ে জটিলতা নিরসনে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশকে জেনেভা যেতে হচ্ছে। তবে সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার কোম্পানি স্পুটনিকের সঙ্গে বাধ্যতামূলক নয় এমন চুক্তি করছে বিটিআরসি। এসপিআইর মাধ্যমে জানা গেছে স্পুটনিকের হাতে চূড়ান্ত বরাদ্দ নেয়া স্লট রয়েছে। আইটিইউর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত দরকষাকষিতে সুবিধা না হলে স্পুটনিকের কাছ থেকে ওই স্লট কিনে নেবে।
৫ বছর আগে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) থেকে ১০২ ডিগ্রিপূর্ব স্লট পেলেও যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ এ স্লট বিষয়ে আপত্তি দিয়েছে বলে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বিকল্প পথ খুঁজতে মাঠে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিকল্পগুলো নিয়েও আছে নানা জটিলতা।এখানে আপত্তি জানিয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীনসহ আরও কয়েকটি দেশ। ফলে অরবিটাল স্লট নিয়ে জটিলতা নিরসনে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশকে জেনেভা যেতে হচ্ছে। তবে সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার কোম্পানি স্পুটনিকের সঙ্গে বাধ্যতামূলক নয় এমন চুক্তি করছে বিটিআরসি। এসপিআইর মাধ্যমে জানা গেছে স্পুটনিকের হাতে চূড়ান্ত বরাদ্দ নেয়া স্লট রয়েছে। আইটিইউর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত দরকষাকষিতে সুবিধা না হলে স্পুটনিকের কাছ থেকে ওই স্লট কিনে নেবে।
উৎক্ষেপনের সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭।




মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন