বিনিন্দিত আমেরিকা ও বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাস
গত পর্বের লিখায় আপনাদেরকে আইএস সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা দেয়া হয়েছে। আজকের আলোচনার বিষয় হলো আইএস তৈরির কারখানা সম্পর্কে।কোন কারখানায় এই ভযঙ্কর আইএস উৎপাদন হয় তা জানাব আজকের পর্বে।আইএস উৎপাদন কারখানা সম্পর্কে জানার জন্য আপনাদের আন্তর্জাতিক বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন নেই।যদি রেগুলার নিউজ পেপার পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে ব্যাপারটা বোঝা সহজ হবে।আমি কিন্তু আইএস সম্পর্কে আজকে কোনা লিখাই লিখবো না।কারণ গত পর্বের লিখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ কয়েক জন আমাকে হুঁশিয়ার বা সচেতন করেছেন।তাই ভয় পেয়ে আর পণ্য সম্পর্কে নয় ডিরেক্ট পেক্টরি সম্পর্কে লিখবো বলে ঠিক করেছি।আমার ভাই জঙ্গি হয়ে বিবেক বোধ হারিয়ে পেলবে,তা আমার সহ্য হবে না।আমার ভাই জঙ্গি হয়ে বোনকে জবাই করবে,তা আমি সহ্য করতে পারবো না।তাই ভাইয়ের স্বার্থে,বোনের স্বার্থে,মায়ের স্বার্থে আমি লিখে যাবো যতো দিন কলমের কালি না ফুরায়।
বন্ধুরা,আপনার নিশ্চয় উপরের শিরনাম দেখে ধারনা করতে পেরেছেন আমি কার কথা বলতে যাচ্ছি।এটি একটি ডাইনীর মতো।ডাইনী ও রাজকুমারের গল্প নিশ্চয় শোনেছেনে।রাজকুমার ডাইনীর সৌন্দর্য দেখে অবিভূত হয়ে তাকে বিয়ে করে।রাজকুমার বাসরঘর ঢুকতেই কি সুন্দর কৃত্রিম হাসি দেয় ডাইনী।কুমার মুগ্ধ চিত্তে তা অনুভব করে। ডাইনী সোহাগ করে শুভ্রবুকের ভেতর টেনে নিয়ে যায় কুমারকে।এই সুযোগে কুমারের গাড়ে বিষদাঁত বসিয়ে চুষে নেয় রাজকুমারের উষ্ণরক্ত।শুধু পড়ে থাকে রাজকুমারের নিথর দেহ।ডাইনী দিন দিন হয়ে ওঠে আরো ভয়ঙ্কর।এভাবে হাজারো রাজকুমারের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে ডাইনী।গল্পের এই ডাইনী আর বর্তমান বিশ্বনিন্দিত আমেরিকা নামক বিশ্বডাইনীর মাঝে কোনো ফরাকত নেই।
আমেরিকার যুদ্ধ ইতিহাস
যুদ্ধবাজ আমেরিকার যুদ্ধ ইতিহাস বেশ লম্বা।এই ফিরিস্তি নিয়ে বলতে গেলে,বই হয়ে যাবে।হাজার হাজার বই আছে আমেরিকার সন্ত্রাসী সম্পর্কে।ওসব বলতে গেলে কথা লম্বা হয়ে যাবে।দ্রুত শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করছি কারণ আমরা অধিকাংশ পাঠকেরা সীমিত ধর্যের অধিকারী।
যুদ্ধবাজ আমেরিকার যুদ্ধ ইতিহাস বেশ লম্বা।এই ফিরিস্তি নিয়ে বলতে গেলে,বই হয়ে যাবে।হাজার হাজার বই আছে আমেরিকার সন্ত্রাসী সম্পর্কে।ওসব বলতে গেলে কথা লম্বা হয়ে যাবে।দ্রুত শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করছি কারণ আমরা অধিকাংশ পাঠকেরা সীমিত ধর্যের অধিকারী।
প্রথম ঘুরে আসি বিশ্ব যুদ্ধ থেকে
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯১৪ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত হন। অস্ট্রিয়া এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং ওই বছরের ২৮ জুন সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ যুদ্ধে দুদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে।আমেরিকা নাকি জড়িয়ে পড়ে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে্য।অন্য দিকে ঐতিহাসিক হারফ্রেড মানকলার উল্লেখ করেছেন “বস্তুত ওয়াশিংটনের রাজনীতিকরা সুযোগটি নেয়ার অপেক্ষায় ছিল”। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন উইড্রো উইলসন।যুদ্ধে অংশ নেয়ার পক্ষে কংগ্রেসে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন উইলসন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার পর এমন বক্তব্য আর কেউ দেননি বলে উল্লেখ করেন সিনেটর বেন টিলম্যান। কিন্তু এ জ্বালাময়ী বক্তব্য সবার কানে ঢোকাতে সক্ষম হননি উইলসন। ।তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ১৯১৭ সালের ৫ মার্চ ভাষণ দেন। বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ইউরোপে চলমান যুদ্ধ আজ মার্কিনদের যুদ্ধ তথা বিশ্বনাগরিকের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।’ এ ভাষণ দেয়ার এক মাসেরও কম সময়ে তিনি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জার্মানিসহ বিশ্বের সব দেশের মানুষের স্বাধীন করার লক্ষ্যে আমেরিকা লড়াই করছে। এরপর সামরিক অভ্যুত্থান চালানোর জন্য তিনি বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই নিরাপদ বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা করার আগে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ঠিক একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন।তবে উইলসনের বক্তব্য খুব সহজে সমাদৃত হওয়ায় তিনি নিজেই বেশ অবাক হয়েছিলেন। তিনি তার অনুগত সচিব টুমুলটিকে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে যে বার্তা আছে তা হলো, আমাদের যুবসমাজের মৃত্যুর বার্তা। অথচ আমার সেই বার্তাকেই সবাই করতালির মাধ্যমে গ্রহণ করল।’ এ কথা বলে প্রেসিডেন্ট টেবিলের ওপর তার মাথা রেখে শিশুর মতো ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেকে প্রধান নিয়ামকের ভূমিকায় আবির্ভূত করলেন । তার কীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ দুই বছর পর তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।তখনি বিশ্বমোড়লের আসনে বসল আমেরিকা। এক্ষেত্রে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অবস্থান কিছুটা অধস্তন হয়ে পড়ল। ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সালের শেষ নাগাদ চলমান প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ১৯১৭ সালে অংশ নিয়ে ৫৮৪ দিন যুদ্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে দেশটির ১ লাখ ১৬ হাজার ৫১৬ জন যোদ্ধা ও নাবিক নিহত হন। একই সঙ্গে আহত হন ২ লাখ ৪ হাজার ২ জন এবং ৩ হাজার ৩৫০ জন সৈন্য নিখোঁজ হন। এর পরও জার্মান চ্যান্সেলর যখন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখন বিজয়ীর আত্মতৃপ্তি অনুভব করেছিলেন উইলসন।প্রাণের বিনিময়ে যেনো উইলসন বিশ্ব মোড়লগিরি কিনে নিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ
মানবসভ্যতার ইতিহাসে এযাবৎ পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ এটি। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ।তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। এই মহাসমরকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়, যাতে ৩০টি দেশের সব মিলিয়ে ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহণ করে।পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ প্রভৃতি ঘটনায় কুখ্যাত এই যুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে।এই মৃতু্যর পেছনে সবচেয়ে বেশি দাযী হিটলারে জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্র।১৯৪৫ সালের ৬ই আগষ্ট আমেরিকা জাপানের হিরোশিমায় পারমানবিক বোম লিটলবয় নিক্ষেপ করে।মুহূর্তের ভেতর ঝকঝকে শহরটি ধুলোর সাথে মিশে যায়।৬০০ মিটার উপর থেকে লিটলবয়ের মাটিতে আঘাত হানতে সময় লাগে ৫৭ সেকেন্ড।৬০ কেজি ওজনের বোমাটি বিষ্ফুড়িত হওয়ার সাথে সাথে শহরের তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৯০০ ডিগ্রিতে।বোমাটির তান্ডব দেখে খোদ নিক্ষেপকারী পাইলট টিবেটস ভয়ে আতঙ্কে বলে ওঠে“হায়!! ঈশ্বর আমি এটা কি করলাম’। ঐ ঘটনায় অন্তত ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এর তিন দিন পর ৯ই আগষ্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় নিউক্লিয়াস বোম “ফ্যাটম্যান” নিক্ষেপ করে বিনিন্দিত ডাইনী আমেরিকা। যেখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়।এর পর আহত ও রোগাক্রান্তদের মধ্যে মারা যায় আরো ২লক্ষ ১৪ হাজার নিরীহ মানুষ।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে এযাবৎ পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ এটি। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ।তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। এই মহাসমরকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়, যাতে ৩০টি দেশের সব মিলিয়ে ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহণ করে।পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ প্রভৃতি ঘটনায় কুখ্যাত এই যুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে।এই মৃতু্যর পেছনে সবচেয়ে বেশি দাযী হিটলারে জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্র।১৯৪৫ সালের ৬ই আগষ্ট আমেরিকা জাপানের হিরোশিমায় পারমানবিক বোম লিটলবয় নিক্ষেপ করে।মুহূর্তের ভেতর ঝকঝকে শহরটি ধুলোর সাথে মিশে যায়।৬০০ মিটার উপর থেকে লিটলবয়ের মাটিতে আঘাত হানতে সময় লাগে ৫৭ সেকেন্ড।৬০ কেজি ওজনের বোমাটি বিষ্ফুড়িত হওয়ার সাথে সাথে শহরের তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৯০০ ডিগ্রিতে।বোমাটির তান্ডব দেখে খোদ নিক্ষেপকারী পাইলট টিবেটস ভয়ে আতঙ্কে বলে ওঠে“হায়!! ঈশ্বর আমি এটা কি করলাম’। ঐ ঘটনায় অন্তত ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এর তিন দিন পর ৯ই আগষ্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় নিউক্লিয়াস বোম “ফ্যাটম্যান” নিক্ষেপ করে বিনিন্দিত ডাইনী আমেরিকা। যেখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়।এর পর আহত ও রোগাক্রান্তদের মধ্যে মারা যায় আরো ২লক্ষ ১৪ হাজার নিরীহ মানুষ।
ভিয়েতনামসহ কয়েকটি যুদ্ধ ও ফলাফল
১. ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চরম লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু পরাজয় বরণের আগে সঙ্ঘটিত করেছিল মারাত্নক গনহত্যা। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, সেই মার্কিনরাই আবার মানবতা নিয়ে সবচেয়ে বেশী সরব।।আজকে আমাদেরকে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপকর্মের সাক্ষী ভিয়েতনাম যুদ্ধ সম্পর্কে জানা উচিত।যুদ্ধের একপক্ষে ছিল উত্তর ভিয়েতনামি জনগণ ও ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট এবং অন্যপক্ষে ছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামি সেনাবাহিনী ও মার্কিন সেনাবাহিনী।এই যুদ্ধে প্রায় ৩২ লক্ষ ভিয়েতনামি মারা যান। এর সাথে আরও প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ লাও ও ক্যাম্বোডীয় জাতির লোক মারা যান। মার্কিনীদের প্রায় ৫৮ হাজার সেনা নিহত হন।এই যুদ্ধে মানবতার কাছে সাম্রাজ্যবাদী শত্রু মারাত্নক ভাবে পরাস্ত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভিয়েতনাম ছিল জ্বলন্ত উনুন। ১৯৬৮ সালে নিক্সন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের নৃশংসতা বেড়ে যায়।১৯৭৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধে চরম মূল্য দিতে হয় এবং দেশে ফিরে যায়। পরে দক্ষিণ ভিয়েতনামি সৈন্যরা উত্তর ভিয়েতনামের কাছে বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭৬সালে কমিউনিস্ট সরকার উভয় ভিয়েতনামকে একত্রিত করে। যুদ্ধে আমেরিকার নিহতের সংখ্যা ৫৮,০০০ ও আহতের সংখ্যা ৩,০৪,০০০। উত্তর ভিয়েতনামের নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ।
১. ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চরম লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু পরাজয় বরণের আগে সঙ্ঘটিত করেছিল মারাত্নক গনহত্যা। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, সেই মার্কিনরাই আবার মানবতা নিয়ে সবচেয়ে বেশী সরব।।আজকে আমাদেরকে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপকর্মের সাক্ষী ভিয়েতনাম যুদ্ধ সম্পর্কে জানা উচিত।যুদ্ধের একপক্ষে ছিল উত্তর ভিয়েতনামি জনগণ ও ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট এবং অন্যপক্ষে ছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামি সেনাবাহিনী ও মার্কিন সেনাবাহিনী।এই যুদ্ধে প্রায় ৩২ লক্ষ ভিয়েতনামি মারা যান। এর সাথে আরও প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ লাও ও ক্যাম্বোডীয় জাতির লোক মারা যান। মার্কিনীদের প্রায় ৫৮ হাজার সেনা নিহত হন।এই যুদ্ধে মানবতার কাছে সাম্রাজ্যবাদী শত্রু মারাত্নক ভাবে পরাস্ত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভিয়েতনাম ছিল জ্বলন্ত উনুন। ১৯৬৮ সালে নিক্সন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের নৃশংসতা বেড়ে যায়।১৯৭৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধে চরম মূল্য দিতে হয় এবং দেশে ফিরে যায়। পরে দক্ষিণ ভিয়েতনামি সৈন্যরা উত্তর ভিয়েতনামের কাছে বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭৬সালে কমিউনিস্ট সরকার উভয় ভিয়েতনামকে একত্রিত করে। যুদ্ধে আমেরিকার নিহতের সংখ্যা ৫৮,০০০ ও আহতের সংখ্যা ৩,০৪,০০০। উত্তর ভিয়েতনামের নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ।




মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন