জীর্ণ জীবন
ভাবছি আর ডাইরি লিখবো না।অতীত স্মৃতিকে সাঙ্কেতিক চিহ্নের শিকলে বন্দি করা উচিৎ নয়।এতোদিন পর বুঝলাম স্মৃতির পাতাকে সংরক্ষণ করা আর কষ্ট সংরক্ষণ করা একি কথা।স্মৃতিগুলো মুছতে দেয়া উচিৎ।ডাইরি লিখা সম্ভবত একটা বদ অভ্যাস। ডাইরির কথা গুলো কেমন জানি কষ্ট দেয়।আজকাল আমার সকল কাজের সাথে ডাইরি কেমন আত্মিয়তা গড়ে তুলেছে।অথচ বর্তমানের সাথে স্মৃতির সর্ম্পক তেতু।যে দেশে মানুষের দাম নেই সে দেশে কুকুরের দাম কি করে? যে দেশে মনবতার অভাব সে দেশে প্রাণীদের উপর রহম তো অলিক কল্পনা । “কুকুরীর জন্য ভালোবাসাতো কুকুরের হয়” পথিক মুখের উপর বলেছে।খারাপ বলেনি।অনাহুৎ পশু পাখিদের কষ্ট দেয়া যে পাপ, তা তো মানুষ ভুলেই গেছে।তাই তো মানুষ মানুষকে জবাই করতে কুণ্ঠা বোধ করে না।আমার লিখা পড়ে কেউ হয়তো বলবেন,“মানুষ মরে ছারখার হচ্ছে দেশে দেশে,পশু পাখি দরদী সজতেছো?” কথা অসত্য নয়।যে পৃথিবীতে মানুষের মূল্য নেই সে পৃথিবীতে কিসের প্রাণীদরদ ?তবে পৃথিবীর সকল ধর্ম বলছে প্রাণীদের উপর অনাহুৎ জুলুম, পাপ।আমি যেহেতু ধর্মের মানুষ তাই আমার কাছেও এটা পাপের শামিল মনে করা বাঞ্চনীয়। বি ব্লক যে লেইনে আমি থাকতাম সে লেইনের কয়েকটা কুকুর-কুকুরী ছিলো আমার...